প্রকাশিত: Wed, Mar 1, 2023 4:38 PM আপডেট: Wed, Jun 25, 2025 9:39 AM
আদানি বিতর্ক ছড়িয়ে পড়েছে ঢাকায়
রাশিদুল ইসলাম: আদানির সঙ্গে বাংলাদেশের বিদ্যুত ক্রয় চুক্তি ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে বলে এধরনের চুক্তি বাতিলের দাবি জানিয়েছে সুশীল সমাজ ও বিরোধী দলগুলোর বড় একটি অংশ। চুক্তিটিকে ‘অপ্রয়োজনীয় এবং অন্যায্য’ বলে অভিহিত করে তা দুটি দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উপর যাতে ছায়া না পড়ে তা নিশ্চিত করতে পদক্ষেপ নিতে ভারত ও বাংলাদেশ সরকারের কাছে আহ্বান জানাচ্ছে তারা।
গত কয়েক সপ্তাহ ধরে ভারতের আদানি গোষ্ঠীর ব্যবসাগুলো নিয়ে ভারতীয় মিডিয়া ছাড়াও আন্তর্জাতিক মিডিয়ায় ব্যাপক আলোচনা চলছে। বাংলাদেশে একটি ধারণা ব্যাপকভাবে প্রচারিত হয়েছে যে, ২৫ বছরের বিদ্যুৎ চুক্তিটি আসলে কোনো চুক্তি নয়, বরঞ্চ এটি আদানির জন্য একটি উপহার। আদানি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত। জ্বালানি বিশেষজ্ঞ এবং বাংলাদেশের কনজিউমার অ্যাসোসিয়েশনের সিনিয়র ভাইস-প্রেসিডেন্ট শামসুল আলম ভারতীয় গণমাধ্যম দ্য টেলিগ্রাফকে বলেন, এই চুক্তিটি দুই দেশের মধ্যে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্কের জন্য একটি আঘাত হতে পারে। এখানকার বেশিরভাগ মানুষ বিশ্বাস করতে শুরু করেছে যে, আমাদের কর্মকর্তারা একটি অলাভজনক চুক্তি করেছে। এর উদ্দেশ্য ভারতের একটি বেসরকারী সংস্থাকে মুনাফা অর্জনে সহায়তা করা, যার সঙ্গে আবার ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর সম্পর্ক রয়েছে। এ ধারণার কারণে বাংলাদেশে ভারতের অবস্থান খারাপ হচ্ছে।
ভারতের কংগ্রেস ও তৃণমূলের মতো বিরোধী দলগুলিও বাংলাদেশের সঙ্গে দেশটির দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উপর এই চুক্তির প্রভাব নিয়ে একই রকম উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। বাংলাদেশিদের একটি বড় অংশই ভারতকে কর্তৃত্ব-ফলানো প্রতিবেশী মনে করে।
এখনও অবধি ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলে আসছে যে, একটি সার্বভৌম দেশ এবং একটি বেসরকারি কোম্পানির মধ্যেকার চুক্তির বিষয়ে তাদের কোনো মন্তব্য নেই। যদিও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ২০১৫ সালে তার ঢাকা সফরের সময় রূপরেখা দিয়েছিলেন যে কীভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদন, বিতরণ এবং ট্রান্সমিশনে ভারতীয় কোম্পানিগুলির প্রবেশ বাংলাদেশে ক্রমবর্ধমান বিদ্যুতের চাহিদা মেটাতে পারে। এরপর ২০১৭ সালের নভেম্বরে বিডিপিবি ঝাড়খণ্ডের গোড্ডায় ১.৭ বিলিয়ন ডলার ব্যয়ে ১৬০০ মেগাওয়াটের কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের জন্য আদানির সঙ্গে চুক্তি করে। ২৫ বছর ধরে সেখান থেকে উৎপাদিত বিদ্যুৎ আমদানি হবে বাংলাদেশে।
প্রথম থেকেই কিছু বিশ্লেষক প্রশ্ন তুলেছিলেন যে, বাংলাদেশেরই নিজের চাহিদার তুলনায় ৪০ শতাংশ বেশি বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা রয়েছে। এমন অবস্থায় আদনানি গ্রুপের কয়লা-ভিত্তিক প্ল্যান্ট থেকে সত্যিই বিদ্যুৎ আমদানির প্রয়োজন আছে কিনা। তবে দেশের বিদ্যুতের খরচ কমাতে বিদ্যুৎ উৎপাদনে বৈচিত্র আনার কথা বলে সরকার এই উদ্বেগগুলোকে দূরে সরিয়ে রেখেছে। কিন্তু ১৬৩ পৃষ্ঠার বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তি প্রকাশ্যে আসার পর গত কয়েক সপ্তাহে আদানি চুক্তি নিয়ে বচসা আরও জোরেশোরে বেড়েছে। গণমাধ্যমগুলোতেও বিষয়টি নিয়ে আলোচনা দেখা যাচ্ছে। সম্পাদনা: সালেহ্ বিপ্লব
টেলিগ্রাফ প্রতিবেদন
আরও সংবাদ
[১]সরকার ধৈর্য্য ধরলেও সন্ত্রাসীরা দেশের অনেক জায়গায় তাণ্ডব চালিয়েছে: তথ্য প্রতিমন্ত্রী
[১]রাজধানীর মোড়ে মোড়ে আওয়ামী লীগের জমায়েত
[১]আন্দোলনকারীরা লাঠিসোঁটা নিয়ে এনায়েতপুর থানায় হামলা চালায় [২]সারাদেশে পুলিশের অনেক স্থাপনা আক্রান্ত
[১]সুশাসন নিশ্চিতে রাষ্ট্রকাঠামো ঢেলে সাজানোসহ ১১ দফা দাবি টিআইবি’র
[১]ড. ইউনূসকে ৬৬৬ কোটি টাকা কর পরিশোধ করতে হবে: হাইকোর্ট
[১]রাষ্ট্রীয় সম্পদ ধ্বংসসহ নৈরাজ্যকারীদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ান: ইকবাল সোবহান চৌধুরী

[১]সরকার ধৈর্য্য ধরলেও সন্ত্রাসীরা দেশের অনেক জায়গায় তাণ্ডব চালিয়েছে: তথ্য প্রতিমন্ত্রী

[১]রাজধানীর মোড়ে মোড়ে আওয়ামী লীগের জমায়েত

[১]আন্দোলনকারীরা লাঠিসোঁটা নিয়ে এনায়েতপুর থানায় হামলা চালায় [২]সারাদেশে পুলিশের অনেক স্থাপনা আক্রান্ত

[১]সুশাসন নিশ্চিতে রাষ্ট্রকাঠামো ঢেলে সাজানোসহ ১১ দফা দাবি টিআইবি’র

[১]ড. ইউনূসকে ৬৬৬ কোটি টাকা কর পরিশোধ করতে হবে: হাইকোর্ট
